রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি
ঝালকাঠির রাজাপুরে স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা সংস্কার করা হয়েছে। রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নের বামনকাঠি, আউখিড়া ও বামনখান গ্রামের সংযুক্ত কাঁচা রাস্তাটির প্রায় এক কিলোমিটারের মধ্যে বিভিন্ন স্থান ভাঙাচোরা এবং অনেক খানা-খন্দক রয়েছে। বৃষ্টি হলেই ভাঙা অংশ কাদা-পানিতে একাকার হয়ে যায়। এমনকি দুর্যোগকালীন সময়ে পানির চাপ বেশি হলে কোমড় পর্যন্ত পানিতে ডুবে যায়। ফলে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ভোগে পড়েন শিশু শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়সের তিন গ্রামের প্রায় দুই হাজার মানুষ। দুর্ভোগ দূর করার জন্য গ্রামবাসী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে কয়েকবার গিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। তাই নিজেদের সমস্যা সমাধানে নিজেরাই এগিয়ে এলেন। নেমে পড়লেন রাস্তা সংস্কারের কাজে স্থানীয় কিছু যুবক।
এই গ্রাম্য রাস্তাটি দিয়ে বামনকাঠি, আউখিড়া ও বামনখান এই তিন গ্রামের মানুষ উপজেলা সদরসহ স্থানীয় কেওতা ঘিগড়া বাজারে যাতায়াত করেন। তাঁদের মধ্যে বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, সবজি ব্যবসায়ীও রয়েছেন। রাস্তার অবস্থা খারাপ থাকায় ও চলাচলে অনুপোযোগী হয়ে পড়ায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত স্থানীয় একটি সামাজিক সংগঠন “জাগ্রত যুব সমাজ” এর উদ্যোগে রুপসী বাংলা ব্লাড ডোনার ক্লাবের সদস্যদের নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিক্তিতে চলাচলে অনুপোযোগী হয়ে পড়া এ রাস্তাটি সংস্কার করা হয়।
রাস্তা সংস্কারের সময় স্থানীয় যুবক শফিকুল ইসলাম, বাবুল, মাহমুদ, মিরাজ, শাহিন বলেন, রাস্তার অনেক স্থান ভেঙে ধানি জমির সঙ্গে মিশে গেছে। এই দুরবস্থার বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য অবহিত থাকলেও রাস্তা সংস্কারে তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের কাছে রাস্তা সংস্কারের দাবি জানালেও তারা তহবিল নেই বলে এ কাজ করা যাবে না বলে জানিয়ে দেন। অথচ ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচি বা এলজিএসপি প্রকল্পের মাধ্যমে এ রাস্তার কাজ সহজেই করা যেত।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহজাহান খান বলেন, কিছুদিন আগে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য আমরা গিয়েছিলাম। কিন্তু স্থানীয় একটু সমস্যা থাকার কারণে আর কাজ করা হয়নি এবং একটু মাপঝোঁপেরও সমস্যা আছে। তবে আমি শুনেছি স্থানীয় কিছু যুবকরা মিলে শুক্রবার রাস্তাটির ক্ষত স্থানগুলো সংস্কার করেছে।